২০২১ সালের ২ অক্টোবর মাঝরাত মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এক প্রমোদতরি থেকে আটক করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। মাঝরাতে ঘটা ওই কাণ্ডে নড়েচড়ে বসে গোটা দেশ। এর পরের দিন গ্রেপ্তার দেখানো হয় আরিয়ানকে। নিম্ন আদালত বারবার তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে অনেক দিন জেলও খাটতে হয় শাহরুখ পুত্রকে। পরে ৩১ অক্টোবর মুম্বাই আদালত আরিয়ানকে জামিন দেন। জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে ফিরলেও অনেকটা আড়ালেই আছেন তিনি। মাঝে শুধু আইপিএলের নিলামে উপস্থিত হয়েছিলেন।
প্রমোদতরির ওই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বাধীন এনসিবির দল। প্রধান তিন অভিযুক্ত ছিলেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। মামলা চলাকালীন বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। আরিয়ানের কাছে মাদক না থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল । তবে এবার উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে শাহরুখপুত্র আরিয়ানসহ ৬ অভিযুক্তের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিলো ভারতের নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার এনসিবি জানিয়েছে, সিট যেভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গেছে তাতে প্রমাণের অভাব রয়েছে। সিটের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এবং এনডিপিএস আইনে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু বাকি ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণের অভাবে মামলা দায়ের করা হচ্ছে না। এনসিবির দাবি, সেই সময় এক অভিযুক্তের সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে মামলা হয়েছিল। কিন্তু পরে সাক্ষীর বয়ান পাল্টে যায়। অভিযুক্তরা মাদক নিয়েছিলেন কিনা তার জন্য কোনও পরীক্ষাই হয়নি।