পূজার জন্য নবান্নের তরফে জারি হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা

আসন্ন পূজার আগে নিয়ন্ত্রিতই রয়েছে দেশের করোনা সংক্রমণ। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই কোভিড পরিস্থিতিতে নবান্নের তরফে জারি হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা। কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এবারেও বিজয়াতে রেড রোডে পুজো কার্নিভাল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি যে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তৃতীয়ার দিন থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য পুজো মণ্ডপ খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে ভিড় এড়াতে তিন দিক খোলা মন্ডপে পুজো করতে হবে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় আরও জানান হয়েছে, রাজ্যের কোনও পুজো মণ্ডপ জলসার আয়োজন করতে পারবে না। এদিকে আবার মণ্ডপের ভিতরেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব এবং করোনা বিধি মেনেই পুজো করতে হবে। কার্যত গত বছর যে নিয়ম ছিল দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এবারেও সেই একই নিয়ম লাগু করা হল। এর আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে জুড়ে জারি থাকবে কোভিড বিধি৷ তবে আগামী ১০ থেকে ২০ অক্টোবর রাতের বিধি নিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। উৎসবের মরশুমে সাধারণ মানুষ যাতে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরতে পারেন, তাই এই ছাড়৷ মহাপঞ্চমী থেকে লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে না রাজ্যে৷ 

উল্লেখ্য করোনা আবহে এ বছরও প্রতিটি পুজো মণ্ডপে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’৷ অর্থাৎ মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা৷ দুর্গা পুজো নিয়ে এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই একই নির্দেশ আগের বছরেও দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছে, ছোট হোক বা বড়, যে কোনও পুজোর ক্ষেত্রেই মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে। শুধুমাত্র পুজো কর্তারাই মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে৷ বড় পুজোর ক্ষেত্রে মণ্ডপের ভেতরে পুজোর কাজ করতে পারবেন ২৫ জন৷ ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১২ জনকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।