রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক সম্পত্তি৷ কোনওটা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যৌথ নামে৷ কোনওটার মালিক আবার অর্পিতা একা৷
শুধু তাই নয়, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে রয়েছে একাধিক জীবন বিমাও৷ যার নমিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বুধবার আদালতে কলকাতার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বিশেষ আদালতে এমনই দাবি করলেন তদন্তকারীরা।
১০ দিনের ইডি হেফাজত শেষে বুধবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ফের আদালতে তোলে ইডি৷ শুনানির সময় ইডির আইনজীবী দাবি করেন, অর্পিতার ৩১টি জীবনবিমায় নমিনি হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে।
দু’জনের মধ্যে কতটা ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ রয়েছে, সেটা বোঝাতেই এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ইডি-র দাবি, তাঁদের দু’জনের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক রয়েছে।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, পার্থ ও ইর্পিতার নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তির হদিস মিলেছে। ইডির যুক্তি, দু’জনের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক না থাকলে এমনটা কখনই সম্ভব নয়। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনার মাঝেই অর্পিতার জীবনবিমা নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷
ইতিমধ্যেই অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিকে, পার্থ ও অর্পিতা দু’জনেই দাবি করেছেন, ওই টাকা তাঁদের নয়। তা হলে ওই টাকা কার? কী ভাবেই বা তা অর্পিতার ফ্ল্যাটে এল?
এখনও এর সদুত্তর খুঁজে পাননি তদন্তকারী অফিসাররা। পার্থ ও অর্পিতার নামে থাকা একাধিক বাড়ি ও সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি হাতে এসেছে তাঁদের৷ মিলেছে যৌথ সম্পত্তির হদিসও৷
২০১২ সালে পার্থ-অর্পিতার যৌথ মালিকানায় গড়ে ওঠে ‘এপিএ ইউটিলিটি সার্ভিসেস’৷ ওই বছর নভেম্বর মাসে তার চুক্তি হয়। অনেকেই এই ‘এপিএ ইউটিলিটি সার্ভিসেস’-কে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস’ বলছেন।