সম্প্রতি অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এই সময় তৃণমূলের শাসকদলের একজন নেতা কী করে গাড়িতে লালবাতি জ্বালিয়ে কী করে বীরভূম থেকে কলকাতা আসতে পারেন? এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপির এক আইনজীবী হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পরেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়াল না তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লাল বাতি লাগানোর অধিকার নেই। ওটা খুলে নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করা হয়েছে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, কারা লালবাতি বা নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়তে পারেন, তার একটা তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকার বাইরে কেউ নিজেদের গাড়িতে লাল বাতি বা নীল বাতি লাগাতে পারবেন না। এই বিষয়ে পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অধিকার না থাকার পরেও নিজের গাড়িতে লালবাতি বা নীলবাতি ব্যবহার করছেন, তাঁদের গাড়ি থেকে শুধু বাতি খুললেই হবে না। পুলিশ সেই গাড়়িকে বাজেয়াপ্ত করবে বলে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির এক আইনজীবী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কী করে ৫ এপ্রিল লালবাতি লাগানো গাড়ি করে বোলপুর থেকে কলকাতা আসতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। গাড়িতে লালবাতি লাগানোর অধিকার অনুব্রত মণ্ডলের নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, চারটে জেলার পুলিশ কেনই বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলেন না।