নিজস্ব সংবাদদাতা,দিনহাটা: শিক্ষক দিবসের দিন সকালে একটি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামলো অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের বামনহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি হাই মাদ্রাসায় এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ সেখানে ছুটে আসে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন।ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি স্কুলে তাদের নানাভাবে পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে।অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রায়ই স্কুলে আসেন না।শুধু তাই নয় আমাদের ঠিকমত ক্লাস হয় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে অভিভাবকরাও। এদিন স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলে এলে বাইরে থেকে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা অভিভাবকদের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত স্কুলের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পঠন-পাঠন ঠিক না হবে আন্দোলন চলবে। এমনকি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অধিকাংশ দিনই আসেন না বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে। প্রধান শিক্ষক অবশ্য জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। তার উপরে নানাভাবে উদ্দেশ্য প্রণদীত ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন অধিকাংশ সময়ই ছুটিতে থাকেন। স্কুলে বর্তমানে মাত্র ৬ জন শিক্ষক থাকলেও তারাও সময় মত সব ক্লাস নিতে পারেন না বলে অভিযোগ। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। ক্লাস ঘর গুলির অবস্থাও ভালো নেই। স্কুলের ১৩ জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা থাকলেও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদোল নেই। স্কুলে অধিকাংশ ক্লাসই ঠিক মতো হয় না। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো রকম সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এইদিন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা মিলে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
স্কুলের পড়ুয়ারা বলেন আমরা স্কুলে এলেও ঠিকমত ক্লাস হয় না। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার খুব বেশি দেরি নেই। এমত অবস্থায় বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন জানান,আমি গত ২৮শে আগস্ট থেকে ছুটিতে রয়েছি। স্কুলে তালা দেওয়ার পেছনে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।
সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরেই পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।