বিপুল সম্পত্তির মালিক সায়গল, সম্পত্তির পরিমান দেখে চোখ কপালে সিবিআইয়ের

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলার মতই গরুপাচার কাণ্ডেও সিবিআইয়ের হাতে আসছে কোটি কোটি টাকার হদিস একের পর এক সম্পত্তি। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে গত জুন মাসে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

ইতিমধ্যেই সায়গলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তদন্তে নেমে কেষ্টর দেহরক্ষীর যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে, তাতে চোখ কপালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। সায়গলের বেতন বা তাঁর পারিবারিক আয়ের সঙ্গে যার কোনও সঙ্গতি নেই৷

সায়গলের যে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে- 
•    ডোমকলে তাঁর নামে থাকা ৩৬ টি জমির প্লট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। যার বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা৷
•    বোলপুরে রয়েছে ৭ টি জমির প্লট৷ যার বর্তমান বাজার দর ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।
•    সিউড়িতেও ৭টি জমির প্লট রয়েছে সায়গলের৷ যা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার বাজারদর ৭২ লক্ষ টাকা।
•     এছাড়াও বীরভূমের অন্যত্র রয়েছে পাঁচটি জমির প্লট৷ যার আনুমানিক বাজারদর ৮৫ লক্ষ টাকা৷
•     পাশাপাশি বেশ কিছু ফ্ল্যাটও রয়েছে সায়গলের নামে। নিউটাউন এলাকা থেকে সায়গলের একটি ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই, যার বাজারদর ১০ লক্ষ টাকা।
•    বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় রয়েছে ৩টি ফ্ল্যাট৷ যার বাজার দর ৬০ লক্ষ টাকা৷ সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
•     পাশাপাশি ইলামবাজারে রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প ও ২টি লরির (দাম ৪২ লক্ষ টাকা) হদিশ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
•    এছাড়াও রয়েছে ৯ টি জীবনবিমা৷  যেগুলির প্রিমিয়াম বছরে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
এসব ছাড়াও ৩৭ লক্ষ টাকার গয়না এবং সাড়ে চার লক্ষ টাকা নগদও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।