করোনা আবহে দিন দিন ঊর্দ্ধমুখী হচ্ছে বাজার দর৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি চালের দামেও আগুন৷ মিনিকেট থেকে গোবিন্দভোগ, গত এক মাসে দাম বেড়েছে বিভিন্ন চালের৷ বাজারে চাল কিনতে গিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের৷ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনাও দেখছেন না বিক্রেতারা৷ বেশ কিছু দিন ধরেই অগ্নিমূল্য সবজির বাজার৷ এবার কি ভাতটুকুও শান্তিতে খেতে পারবে না মধ্যবিত্ত মানুষ? বিক্রেতারা বলছেন, গত এক মাসে প্রায় সব ধরনের চালের দামই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ চালের খুচরো বাজারে চালের দর দেখলে বোঝা যাবে, গত এক মাসে প্রায় সব ধরনের চালের চামই বৃদ্ধ পেয়েছে৷
এক মাস আগে মিনিকেট চালের দাম ছিল ৩৪-৩৫ টাকা কেজি, বর্তমানে তা বিকোচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে৷ বাঁশকাঠি চালের দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, তা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি৷ দুধের সর চাল বিক্রি হচ্ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে৷ এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি৷ বাসমতি চালের দর ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি৷ বর্তমানে তার দাম ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি৷ গোবিন্দভোগ চালের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি৷ এখন তার দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা৷ একলাফে চালের দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাথায় হাত৷ বাংলাদেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে রফতানি ও মিনিকেট চালের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যাওয়াই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিক্রেতারা৷ তাঁরা জানালেন, মিনিকেট-বাসমতি চালের দাম ৪-৫ টাকা বেড়েছে৷ ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা দাম বেড়েছে ৩০-৩২ টাকার মোটা চালের দামও৷