মালবাজার শহরে বেশিরভাগ টিউবওয়েল বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রচুর অর্থ খরচ করে বোরিং করার পরও এই সমস্যা। আর শুখা মরশুমে এই টিউবওয়েলগুলোই শহরবাসীর প্রধান ভরসা। কারণ, এই সময়টা জলস্তর নেমে যাওয়ায় পাতকুয়োর জল শুকিয়ে যায়। পুরসভার জল পরিষেবাও ঠিকঠাক হয় না। এই পরিস্থিতিতে অকেজো টিউবওয়েলগুলি নিয়ে ক্ষুব্ধ শহরবাসী। যদিও পুরসভার জল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘বোরিং ঠিকঠাকই হয়েছে। জলের লেয়ারের কোনও সমস্যা নেই। টিউবওয়েলগুলোর অত্যধিক ব্যবহারের ফলে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা হচ্ছে। ওয়াশার খারাপ হয়ে থাকতে পারে। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ঠিক করে দেব।’ ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শহরের একাধিক ওয়ার্ডে ডিপ বোরিং করে টিউবওয়েল বসানো হয়। যেগুলির মধ্যে বেশকয়েকটি অকেজো হয়ে পড়েছে। বাকিগুলিতে জলের গতি নেই। যার জেরে জল নিতে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে অপেক্ষাকৃত ভালো টিউবওয়েল খোজে বেড়াচ্ছেন নাগরিকরা। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে সর্বসাধারণের বক্তব্য রাখার একটি ব্যবস্থা করা উচিত। তাহলে কোথায় টিউবওয়েল বসালে ভালো হয়, সে ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে এসে তা কার্যকরী করা যাবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ তো অবশ্যই নেওয়া উচিত। যেমন-তেমন করে কাজগুলি করায় আমাদের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে।’ একই বক্তব্য চন্দন সাহারও।
এদিকে, পুরসভার দাবি মানতে নারাজ শহরের বিরোধী মহল। মাল টাউন বিজেপির সভাপতি নবীন সাহার বক্তব্য, ‘ব্যাঙের ছাতার মতো পুরসভা যেখানে সেখানে ডিপ বোরিং করেছে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে জলের লেয়ার বিবেচনা না করেই কাজ হয়েছে। টিউবওয়েলগুলো বসানো হয়েছে কতিপয় মানুষকে খুশি করার জন্য। বেশিরভাগ টিউবওয়েলেই জলের প্রেসার নেই। তারপরও যদি পুরসভা অজুহাত দেয় ওয়াশার খারাপ হয়েছে, তাহলে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশার বদলে জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেখাক।’ পুরসভার ওপর ক্ষুব্ধ প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুপ্রতিম সরকারও। তিনি বলেন, ‘সবক’টি কাজই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়েছে। কিছু জায়গার লেয়ার চেক করতে গিয়ে আয়রন পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টা ধামাচাপা দিয়ে সেখানে টিউবওয়েল করা হয়েছে। কিছু লোক নিজেদের কার্যসিদ্ধির জন্য কোনও নিয়মকানুন মানছে না।’