প্রজাতন্ত্র দিবসের জারি হলো সতর্কতা

আজ বাদে কাল প্রজাতন্ত্র দিবস রাজ্যে। এই মুহূর্তে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আগামীকাল দেশজুড়ে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে সব রাজ্যগুলি। করোনা পরিস্থিতির জন্য বেশ কিছু অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। আগেই একাধিক সতর্কবার্তা দিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থারা। এবার বিএসএফ আরও বিস্ফোরক তথ্য দিল। জানান হল, কাশ্মীর সীমান্তে ওত পেতে শতাধিক জঙ্গি! আগামীকাল হামলার ছক কষছে তারা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে রাজধানী দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে।

বিএসএফ সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লঞ্চ প্যাডে নাকি ওত পেতে রয়েছে কমপক্ষে ১৩৫ জঙ্গি! যে কোনও সুযোগ পেলেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকে যেতে পারে। সেই চেষ্টাই তারা করছে। কিন্তু ইতিমধ্যে একাধিক চেষ্টা তাদের বৃথা করে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেই জানিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। তবে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে সীমান্ত এলাকায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি বিএসএফ জানিয়েছে, বেশ কিছু ‘গাইড’ ইতিমধ্যে পাক অধিকৃত অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের গতিবিধির নজরে রাখা হচ্ছে। তবে তারা ড্রোন হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না, সেই পরিপ্রেক্ষিতেও আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এও রিপোর্ট এসেছিল যে, হামলার বড়সড় ছক কষছে জঙ্গীরা৷ তাঁদের নিশানায় রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক এক সপ্তাহ আগে এই খবর মিলেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজধানী দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলার সময় হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান কিংবা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার জঙ্গিগোষ্ঠীরা এই প্ল্যান ছকছে। জনবহুল এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের মূল্য লক্ষ্য। যেখানে শুধু সাধারণ মানুষই নন, উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টজনেরাও৷ শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণই নয়, ড্রোনের সাহায্যেও হামলার চালানো হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা।