গত রবিবারই কলকাতা পুরসভা ভোট ঘরে একধিক অশান্তির ছবি দেখা গেছে মহানগরীতে৷ কলকাতা পুরভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই মতো প্রতি বুথে বসে নজরদারি ক্যামেরা৷ কিন্তু তাতেও অশান্তি রোখা যায়নি৷ বরং বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ঢেকে দেওয়া হয় সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ৷ একাধিক বুথে ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, দম থাকলে পুনর্নির্বাচন করে দেখান৷ কিন্তু বিরোধীদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ তাদের বক্তব্য, দুই একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কলকাতা পুরভোটে কোনও অশান্তি হয়নি৷ ভোট ছিল মোটের উপর শান্তিপূর্ণ৷
পুনর্নির্বাচনের প্রশ্নে রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘কোনও বুথেই পুনর্নির্বাচন হবে না।’ অর্থাৎ পুনর্নির্বাচনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা কার্যত খারিজ করে দিল কমিশন৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথের তথ্য খতিয়ে দেখার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতে, মোটের উপর কলকাতা পুরভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
এদিকে কলকাতা পুর ভোটে বুথে বুথে রিগিং হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা৷ হয়েছে বোমাবাজি–ছাপ্পাভোট৷ কিন্তু এই অভিযোগ সাপেক্ষে কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি বিরোধীরা। অথচ ভোট শেষ হতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে রাজভবন, সর্বত্র ছুটে বেরিয়েছে প্রধান বিরোধী দল৷ নালিশ জানিয়েছে। কিন্তু কোনটাই ফলপ্রসু হয়নি৷ বরং ভোট দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলে যান, ‘উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। যে সকল জায়াগায় বিরোধীরা লড়াই দিতে পারেনি, সেখানে ড্রামা করছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
কলকাতা পুরভোটের সবচেয়ে নজির বিহীন ঘটনা ছিল বিরোধী ঐক্য৷ এজেন্টদের মারধর, রিগিং-এর অভিযোগে বড়তলা থানার সামনে এক যোগে বিক্ষোভ দেখায় বাম-কংগ্রেস ও বিজেপি৷