শনিবার রেড রোডে পুজোর কার্নিভালের মূল অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রেড রোডে সাজো সাজো রব। রাজবাড়ির আদলে তৈরি করা হচ্ছে মূল মঞ্চ। থাকছে বিদেশের প্রতিনিধিদের জন্য আলাদা করে বসার জায়গা। এদিকে রেড রোডের কার্নিভালের পাশের চাহিদা এতটাই যে ২০ হাজার আমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।কয়েক হাজার দর্শক আসবেন তা অনুমান করেই রেড রোডে দুপাশে থাকছে বিস্তর বসার জায়গা।
নবান্ন সুত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, রেড রোডের কার্নিভ্যালে মোট ৯৫টি পুজা কমিটি যোগ দিতে চলেছে। যার মধ্যে উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতার পাশাপাশি সল্টলেকের ও কয়েকটি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করতে চলেছে। দক্ষিণ কলকাতা থেকেই বেশি পুজো কমিটি যোগ দেবে এই কার্নিভালে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। রেড রোডে এই অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে চারটে থেকে শুরু হওয়ার কথা। প্রায় তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠান হবে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে দু মিনিট থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে হবে মূল মঞ্চের সামনে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ জন সদস্যদের নিয়ে তারা আসতে পারেন এমনটাই জানানো হয়েছে ক্লাবগুলিকে। রেড রোডের এই মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ডোনা গাঙ্গুলীর একাডেমির পারফরম্যান্স দিয়ে। কিন্তু তিনি আপাতত অসুস্থ থাকায় সেই অনুষ্ঠান হলেও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করতে পারবেন না বলেই জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি রেড রোডের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও। উপস্থিত থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে রেড রোডে এই কার্নিভাল আয়োজন করা যায়নি। তার আগে রেড রোডে এই কার্নিভাল আয়োজিত হলেও, এত বড় মাপের কার্নিভাল এর আগে হয়নি বলে দাবি করছেন প্রশাসনিক মহলের আধিকারিকরা।
বাংলার দুর্গা পুজোকে ইউনেস্কোর বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার পর এত বড় মাপের কার্নিভালের আয়োজন হতে চলেছে বলে দাবি করছেন আধিকারিকরা। শনিবার রেড রোডে কার্নিভালের পাশাপাশি শুক্রবার বিভিন্ন জেলায় কার্নিভাল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। তবে রেড রোডের এই কার্নিভালে যেসব পুজো কমিটিগুলি যোগ দেবেন তাদের সকাল ১১ টার মধ্যেই রিপোর্টিং করতে হবে রেড রোডে নির্দিষ্ট জায়গায়। এই কার্নিভালকে কেন্দ্র করে শনিবার বেশ কিছু জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।