রক্ষক -ই -ভক্ষক এক সিভিক ভলেন্টিয়ার

রক্ষক -ই -ভক্ষক, এবার বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার বিরুদ্ধে l চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার ঋশিপপুর অঞ্চলে।বিষয় সম্বন্ধে জানিয়ে গত শনিবার প্রথমে হবিবপুর থানায় অভিযোগ করা হয়,কিন্তু পুলিশ কোন রকম ভাবে পদক্ষেপ করছে না। তাই পরবর্তীতে সোমবার পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ। যদিও জেলা পুলিশ সুপার এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলাকেl

জানাযায়, অভিযুক্ত সিভিকের নাম মনোজ মন্ডল। মহিলার অভিযোগ, ঘরে কাপড় পাল্টানোর সময় হঠাৎ ঢুকে পড়ে ওই সিভিক। এরপর আমার হাত, মুখ চেপে ধরে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে সে। আমার চিৎকার শুনে মা-বাবা ঘরে এসে পড়লে সে পালিয়ে যায়। যদিও অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে বলে দাবি করেন সিভিক ভলেন্টিয়ার মনোজ মন্ডল। সে জানায়, শুক্রবার ওই মহিলা তাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে l  ঘটনার সময় আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে মন্দিরে পুজো করছিলাম। নির্যাতিতা মহিলার আরও অভিযোগ, ঘটনার পর ওই সিভিকের পরিবার লোহার রড নিয়ে বাবা-মা ও আমার উপর চড়াও হয় মারধর করে। ঘটনায় বাবার মাথা ফেটে যায়।পাল্টা সিভিক জানায়, যেহেতু আমি সিভিকের কাজ করি সেই কারণে আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন ওই মহিলা। তদন্তে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিষয় প্রসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্রে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানান পশ্চিমবঙ্গ এখন ধর্ষণে ভারতবর্ষে এখন শীর্ষস্থান অধিকার করেছে।  কালী পুজোর রাত্রে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা নিন্দনীয় ঘটনা। আজকে  একজন সিভিক পুলিশ এর সাথে পুলিশ আধিকারিক সব একসাথে মিলেমিশে গিয়েছে। আসলে সবার কাছে একটাই বার্তা যাচ্ছে পুলিশ এই ধর্ষকদেরকে উৎসাহিত করছে। এই পশ্চিমবঙ্গে শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু জানান হবিবপুরের যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ক্ষেত্রে হবিবপুর থানা পুলিশ  তদন্ত শুরু করেছে, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে ,আইন কাউকে হাতে নিতে দেবে না। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা যথেষ্ট রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।