কোচবিহার নামটি মনে আসলেই ফুটে ওঠে কোচবিহার রাজবাড়ির ছবি। দেশের গন্ডি ছারিয়ে বিশ্বের দরবারেও কোচবিহার রাজপ্রাসাদ এর ছবি খুবই পরিচিত।বার্মিংহাম প্যালেসের আদলে তৈরি হেরিটেজ কোচবিহার রাজপ্রাসাদ পর্যটকদের কাছে অন্যতম পছন্দের স্থান। কোচবিহারের রাজাদের তৈরি বিভিন্ন হেরিটেজ স্থাপত্য আজও কোচবিহারের বিভিন্নপ্রান্তে এন্তার ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে। এরই মাঝে বিভিন্ন সময়ের অবহেলায় হারিয়ে গেছে রাজাদের অনেক হেরিটেজ স্থাপত্য। চোখের সামনে হারিয়ে গেছে কোচবিহার বিমান বন্দর সংলগ্ন যুবরাজের প্রাসাদটি। ওল্ড টেম্পেল রোডের সাবিত্রী লজকে আজ মানুষ চেনে ভূত বাংলো হিসেবে। পথচারীদের জল পানের জন্য রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত জলের কল গুলির মধ্যে আজ আছে হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র। সব মিলিয়ে শহর কোচবিহারের হেরিটেজ ব্যবস্থা এতদিন ছিল অবহেলায়। তবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কুচবিহার কে হেরিটেজ শহর হিসেবে ঘোষণা করায় শহর কোচবিহারে হেরিটেজ সংস্কারের কাজ পেয়েছে এক নতুন গতি। খড়গপুর আই আই টি থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এসে সমীক্ষা কোরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে কাজও । ইতিমধ্যে হেরিটেজ প্রকল্পে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের লাইনের কাজ শহরের অর্দ্ধেক অংশে পৌছেছে। মাঝখানে করোনা অতিমারির জন্য দুবছর ব্যহত হয়েছে হেরিটেজ প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যে শহরের দিঘি সংস্কারের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জোর কদমে চলছে দিঘির চারপাশে গার্ড ওয়ালের কাজ।
শহরের মোট ১৫৫ টি নিদর্শন স্থান পেয়েছে হেরিটেজের তালিকায়। ইতিমধ্যে জেলার হেরিটেজ স্থাপত্য ও দর্শনীয় স্থানগুলি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র জেলা প্রশাসনের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। একসময় কোচবিহারের বাবুরহাট হয়ে রাজারা শিকারে যেতেন। সেই কথা মনে রেখে কোচবিহার পুরসভার তরফে বাবুরহাট সংলগ্ন শহরের প্রবেশ মুখে আইটিআই মোড়ে হেরিটেজ গেট তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।সব মিলিয়ে কোচবিহারের হেরিটেজ স্থাপত্য নিয়ে পর্যটনের মাধ্যমে উন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর সেটাকে ভর করে আগামীতে সেই অপেক্ষায় তাকিয়ে সমগ্র কোচবিহার।