ঘটা করে বিয়ে হলো রাজিব কন্যার

বিয়ে হলো ঘটা করে৷ রাজকীয় বিয়ে৷ রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ইকো পার্কে বসেছিল রূপকথায় বিয়ের আসর৷ রথী-মহারথীদের উপস্থিতিতে বসেছিল চাঁদের হাট৷ আলোর রশনাই আর সানাইয়ের সুরে চারহাত এক হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের৷ চোখ ধাঁধানো বিয়ের আসরে শুভদৃষ্টি সারলেন রাজীব কন্যা৷ উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র৷ 

রাজীব কন্যার বিয়ের আয়োজন কোনও রূপকথার বিয়ের চেয়ে কম ছিল না৷ একেবারে চোখ ধাঁধানো আয়োজন৷ নাচে-গানে জমজমাটি৷ প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরায় গিয়ে পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন রাজীব বন্দ্যেপাধ্যায়৷ বিধানসভা ভোটের আগে দল বদলের হিড়িকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব।কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তিনি ছিলেন মৌন৷

সেভাবে বিজেপি’র কোনও অনুষ্ঠানেই আর দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে৷ বরং তিনি যোগাযোগ রাখছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে৷ একের পর এক ফেসবুক পোস্টে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি সমর্থন৷ এর পর গত ৩১ অক্টোবর আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে তৃণমূলের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘর ওয়াপাসির পরেই ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিলেন তিনি৷ আয়োজনের কোনও খামতি রাখলেন না প্রাক্তন মন্ত্রী৷ 

তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন রাজীব। প্রকাশ্যে নিজের ভুল স্বীকারও করে নেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অভিমানে জেদের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম৷ আমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারণ করেছিলেন। আমাকে অভিষেক ৩০ মিনিট বুঝিয়েছিলেন। আমি অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি৷ সেদিন কথা শুনলে আজ দিশাহীন হতাম না।”