দলবদলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন রাজীব

বহু দিনের সব জল্পনার অবসান করে সদ্য মাত্রই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় পৌঁছলেন রাজীব। কলকাতা বিমানবন্দরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অনুগামীদের উচ্ছ্বাস। ফুল দিয়ে স্বাগত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কলকাতা বিমানবন্দরের স্বাগত জানাতে আসা অনুগামীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘‘যারা এসেছেন প্রত্যেককে ধন্যবাদ৷ সবাইয়ের সঙ্গে আগামীদিনে একসঙ্গে কাজ করব৷ এইটুকু প্রতিশ্রুতি দিলাম।’’

সেখানেই রাজীবকে জানতে চাওয়া হয়, আপনি বারবার দল বদল করছেন, তাতে মানুষের আপনার প্রতি বিশ্বাস যোগ্যতা নষ্ট হয় না? এই প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, ‘‘জানি না আপনি বারবার কিভাবে বলেন আমার জানা নেই। আমি একজন দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল থেকে বিলং করি৷ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস পরিবার থেকে আমার জন্ম। সাময়িকভাবে আমার কিছু রাগ অভিমানের কারণে দলবদল করেছিলাম৷ সেটা ঠিক হয়নি৷ আমি সেটা উপলব্ধি করেছি৷ যার কারণে ছয় মাসের মধ্যে আমি আমার পুরনো ঘরে ফিরে এসেছি।’’

প্রসঙ্গত, ভোটের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ বলেছিলেন৷ সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রাজীবের সাফায়, ‘‘রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু হয় না৷ বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হয়৷ তাই রাজনীতিতে কে কি বলল, সব ভুলে গিয়ে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে।’’ ত্রিপুরার দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গেও রাজীব বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরার মাটি আমি বহুদিন ধরে চিনি৷

বিগত ২০১৬ সালের পর থেকে বহুবার ত্রিপুরায় গেছি৷ রাজনীতির কারণেও গেছি, বিভিন্ন সামাজিক কাজে গিয়েছি, মন্দিরেও গেছি। ওখানে আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন আছে আর ত্রিপুরা হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য৷ একই রকম সংস্কৃতি, ভাষা প্রায় সমান মিল আছে৷ সুতরাং অসুবিধার হবার কোনও কারণ নেই৷ দল যখন যেখানে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’’ মন্তব্য করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও৷ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার শ্রদ্ধেয় নেতা৷ তিনি অভিভাবক। আমি যখন দল ছেড়ে যাই, তিনি অত্যন্ত দুঃখিত ছিলেন৷ সেই দুঃখ ওনার এখনও৷ যায়নি তাই উনি যেটা বলেছেন সেটা ওনার ব্যক্তিগত মত৷ আমার সাথে ওনার দাদা ভাইয়ের সম্পর্ক৷ অসুবিধা হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’’