সামনেই বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ দূর্গাপুজো৷ পুজোর বাকি আর মাত্র কিছুদিন, অপেক্ষা আর মাত্র ছত্তিরিশ দিনের৷ মা আসছে৷ চারিদিকে পুজো পুজো রব৷ জোর কদমে চলছে কেনাকাটি৷ চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ৷
করোনা আবহে গত দু’বছর পুজো ছিল ম্যারমেরা৷ কিন্তু, এবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক৷ তবে চিন্তায় ফেলেছে আবহাওয়ার খামখেয়ালি৷ পুজোর সময় কেমন থাকবে আবহাওয়া? বৃষ্টি এসে ভেস্তে দেবে নাতো পুজোর প্ল্যান?
ফি বছরের মতো এ বছরও পুজোর আগে বাঙালির মনে উঁকি দিয়েছে এই প্রশ্ন৷ অনেকেরই আশঙ্কা, এবার জুন-জুলাইয়ে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় পুজোর সময় ভিজবে না তো বাংলা! কিন্তু বৃষ্টি নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, দুর্গাপুজোর এখনও এক মাস বাকি। এখন থেকেই এ বিষয়ে দৃঢ়ভাবে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়৷ পুজোয় আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা পুজোর সপ্তাহখানেক আগেই বলা সম্ভব৷
এদিকে পুরুলিয়া, ক্যানিং হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত থাকার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় থাকায় বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অনেকটাই কম৷ আরও পশ্চিমে সরবে ঘূর্ণাবর্ত৷ সরে যাবে মৌসুমী অক্ষরেখাও। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়৷ শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস৷