এইমুহূর্তে প্রখর রৌদ্রতাপে পুরছে দক্ষিণবঙ্গ। বৈশাখ প্রায় চলে যাচ্ছে কিন্তু কালবৈশাখী আর এল না। একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে আর বৃষ্টির দেখাও নেই। লাগাতার কিছুদিন ধরে তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হচ্ছে রাজ্যবাসীর একাংশ। উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে তা কবে হবে কেউ বলতে পারছে না। আগেই হাওয়া অফিস জানিয়েছিল যে, আগামীকাল পর্যন্ত দক্ষিণের সবকটি জেলাতেই হাঁসফাঁস করা গরম থাকবে৷ আজ কিছুটা স্বস্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। জানান হয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিক থেকে শুরু হতে পারে বৃষ্টি! কিন্তু তার আগে পর্যন্ত একই রকমভাবে তাপপ্রবাহ চলবে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগামীকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় তাপপ্রবাহ চলতে পারে এবং শুক্র, শনিবারেও বেশ কয়েকটি জেলা তাপের প্রদাহ সহ্য করবে। কিন্তু রবিবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে। পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া চলতে পারে। পাশাপাশি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। অর্থাৎ মে মাসের শুরুর দিক থেকেই আবহাওয়ার বদল চোখে পড়তে পারে। এদিকে উত্তরবঙ্গে এরই মাঝে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে।
তবে তাপের মাঝে নিজেকে কী ভাবে সুস্থ রাখতে হবে, সেটা জানা অত্যন্ত আবশ্যক৷ চড়া রোদে বাইরে বেরলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যায়৷ কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে গরমকে উপেক্ষা করেই আমাদের পথে বেরতে হয়৷ চাইলেই ঘরে বসে থাকার জো নেই৷ অফিস-কাছারি বা ব্যবসার কাজে ছুটতেই হয়। তবে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। সবার আগে জেনে নিতে হবে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ বা উপসর্গগুলি কী? ডিহাইড্রেশন, রোদে শরীর শুকিয়ে যাওয়া, পেশিতে টান ধরা, এই লক্ষণগুলি দেখলেই সতর্ক হতে হবে।