অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত দেশজুড়ে। জ্বলছে একের পর এক ট্রেন, স্টেশনে স্টেশনে তাণ্ডব। আর এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ জানান, রেল আমাদের জাতীয় সম্পত্তি। কাজেই, এর যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেকের কাছে আমার আবেদন, কেউ হিংসার আশ্রয়ন নেবেন না। রেলের সম্পত্তি নষ্ট করবেন না। রেল আমাদের দেশের সম্পত্তি। আমাদের সম্পত্তি এবং এটা আমাদের পরিষেবার জন্যই রয়েছে।
উল্লেখ্য, অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভের কারনে, শুক্রবার দেশজুড়ে অন্তত ৩৪০টি ট্রেনের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ৯৪টি মেল ট্রেন ও ১৪০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়। প্রচুর ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। প্রচুর ট্রেন দেরিতে চলছে। হুট করে ট্রেন বাতিল ও রুটে কাঁটছাট করায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। মূলত, শুক্রবার বিহারের লক্ষ্মীসরাইতে বিক্রমশিলা এক্সপ্রেসে কয়েকটি কামরায় আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিহারের গয়ার বখতিয়ারপুর থেকে দানাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা এই ট্রেনটির এসি থ্রি টিয়ার কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিহারের কুলহারিয়াতেও ট্রেনের কয়েকটি কামরা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি বিক্ষোভের কারনে সেকেন্দ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেছে এক তরুণের। বিহারের লখিসরাইতেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দামোদর রাকেশ নামে এক তরুণের। যিনি ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি সেনায় ভর্তির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন দামোদর। ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার লিখিত এবং মেডিক্যাল পরীক্ষায় পাসও করেছিলেন তিনি।