অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ, যার কনো ইতি হচ্ছে না। ১৩ দিন হয়ে গেল যুদ্ধে ইতি হওয়ার ইঙ্গিতও নেই। লাগাতার হামলা চলছে ইউক্রেনে। রাশিয়া কয়েকবার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলেও তাতে আখেরে অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এদিকে ইউক্রেনও রাশিয়াকে ছেড়ে দেবে এমন পথ অবলম্বন করবে না বলেই স্পষ্ট করেছে। সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছিল যে আগামী দিন পরিস্থিতি আরও জটিল হতে চলেছে। কিন্তু এরই মাঝে আশার বার্তা দিল রাশিয়া। জানান হল, ইউক্রেন সরকারকে উৎখাতের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। আলোচনা ভাল জায়গার দিকেই এগোচ্ছে।
রাশিয়ার তরফ থেকে জানান হয়েছে, সমস্যা সমাধানে ইউক্রেনের সঙ্গে যে আলোচনা চলছে, তাতে অগ্রগতি হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করা বা পালটে দেওয়ার কোনও ভাবনা নেই ক্রেমলিনের। এছাড়াও স্পষ্ট করা হয়েছে, ইউক্রেনকে ধ্বংস করা বা দখল করে নেওয়ারও কোনও ইচ্ছে রাখে না পুতিন সরকার। এই বক্তব্যের পর সকলের আশা যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো এই যুদ্ধ থেমে যাবে এবং বাঁচবে লক্ষ প্রাণ। এই মুহূর্তে বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে আলোচনা চলছে দুই দেশের মধ্যে। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থেকে চাপ পড়তে শুরু করেছে রাশিয়ার ওপর। ইতিমধ্যেই বহু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই হয়তো তারাও এবার পরিস্থিতি ঠিক করতে পদক্ষেপ করছে।
এই মুহূর্তে অন্তত ২০ লক্ষ ইউক্রেনবাসী দেশ ছাড়ছেন কিংবা সীমান্তে রয়েছে দেশ ছাড়ার তাগিদে। সম্প্রতি ৭৭৮ টি নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে পুতিনের দেশের ওপর। সব মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আসল সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩০। এই নিষেধাজ্ঞার নিরিখেই ইরান এবং উত্তর কোরিয়াকে টপকে গিয়েছে তারা। কিছুদিন আগেই এক সমীক্ষা চালিয়েছিল ক্যাস্টেলাম ডট এআই। তারা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই কাজ করে। এই তথ্য দিয়েছে সেই সংস্থাই। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুইৎজারল্যান্ড (৫৬৮)।