গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের উন্নতির জন্য বহু কাজ করেছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘বিশ্ব বাংলা’ নামে নানবিধ কর্মসূচি চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় বক্তব্য রেখেছেন। এই ইস্যু নিয়ে অনেক বার বিতর্ক হলেও তাতে বিশেষ পাত্তা দেয়নি নবান্ন। এবার সেই ‘বিশ্ব বাংলা’ ব্র্যান্ড নিয়েই আরও একবার গর্ব অনুভব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লন্ডনের এক স্টেশনের নাম বাংলায় রাখা হয়েছে। তাই নিয়েই এদিন টুইট করেন তিনি।

লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সাইনবোর্ডে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এই এলাকার মেট্রো স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা হয়েছে কিছুদিন আগেই। সেই খবর প্রকাশ্যের আসতেই উচ্ছ্বাসে মেতেছে বাঙালি। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ প্রকাশ করে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লেখেন, ”আমি গর্বিত যে লন্ডন টিউব রেলের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা হয়েছে। এই থেকে বোঝা যায়, ১০০০ বছরের পুরনো বাংলা ভাষার গুরুত্ব ও শক্তি আরও বাড়ছে বিশ্বব্যাপী।” একই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, এটা বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জয়।

আসলে লন্ডনের এই হোয়াইটচ্যাপেল অঞ্চলে কম্পক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষ বাঙালি। এখানে অনেক দোকানের নামও বাংলা ভাষায় লেখা আছে। ইংল্যান্ডের অধিকাংশ বাঙালিই থাকেন এই অঞ্চলে। বহু দিন ধরেই দাবি উঠছিল যে, হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা হোক। সেই দাবি মেনেই এখন এই স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা হয়েছে। ট্রান্সফোর্ড ফর লন্ডন অথরিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। যা বিশ্বের প্রতিটি বাঙালির কাছে গর্বের ব্যাপার। জেনে রাখা ভাল, লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্কের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন এটি। হিথরো বিমানবন্দরের সঙ্গে ‘কুইন এলিজাবেথ’ লাইনের সংযোগ ঘটায় এটি