কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এর মাঝে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই পুজোই পেয়েছে ‘ইনট্যানজিবল হেরিটেজ’ তকমা, যা দিয়েছে ইউনেস্কো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে এই সম্মান এসেছে। আজ বিকেলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যার প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। কিন্তু দুর্গোপুজোর আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে ডাক পায়নি খোদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারই। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখাচ্ছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। বিকেলেই এই অনুষ্ঠান বয়কট করছে তারা।
কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতায় ভিক্টোরিয়াতে দুর্গাপুজো নিয়ে অনুষ্ঠান করছে আর সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়নি রাজ্যের কাউকেই। আমন্ত্রিত নয় ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ সংগঠনও। এছাড়াও একাধিক শিল্পীরাও আমন্ত্রণ পায়নি এখানে আসার। তাই সকলেই মনে করছে এইভাবে বাংলা তো বটেই, বাঙালি শিল্পীদেরও অপমান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ সংগঠন এই অনুষ্ঠান বয়কট করে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে বিকেলেই। তাদের মতোই ক্ষুব্ধ পুজো উদ্যোক্তারাও। তাদের বক্তব্য, যে সরকারের আমলে দুর্গাপুজোর এত বড় সম্মান প্রাপ্তি, আন্তর্জাতিক খ্যাতি, সেই সরকারকেই আমন্ত্রণ করা হয়নি। এটা বড়ই লজ্জার বিষয়। উলটে রাজ্যপালের মতো এমন একজন রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন যিনি বাঙালি নন।
‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ মূল বক্তব্য, রাজ্য সরকার ও কলকাতার দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টাকে হেয় করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এটা করে। সেই কারণেই প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় প্রেস ক্লাবে তাদের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।