কেষ্টর দেহরক্ষীর আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি

রাজ্যের গরুপাচার কাণ্ডে জর্জরিত এক একজনের সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে সিবিআইয়ের৷ সিবিআই চার্জশিটে ববিনের যে সম্পত্তির কথা উল্লেখ রয়েছে, তার পরিমাণ ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ এ কথা শুনেই মুখ টিপে হাসছেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মানুষজন৷

এখানেই ববিনের মামাদের বাড়ি৷ সেদিকে আঙুল তুলে তাঁরা বলছেন, ববিনের যত পরিমাণ টাকা তাঁর আত্মীয়দের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তা একজোট করলে অঙ্কটা পাহাড় প্রমাণ হবে৷

এই ববিন হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন৷ গরু পাচার মামলায় আপাতত তিনি সিবিআই হেফাজতে৷ ববিনের মামার বাড়ি ডোমকলে৷ সেখানে রয়েছে ববিনের মামা হাবিবুর রহমানের ছ’তলা পেল্লাই বাড়ি।

পরিবার সূত্রে দাবি, হাবিবুরকে নাকি এই প্রাসাদোপম বাড়িটি দান করেছেন সায়গলের মা লতিফা বেওয়া। এদিকে, স্বামীর পেনশন ছাড়া লতিফার নিজস্ব কোনও উপার্জন নেই৷ এদিকে, এই ডোমকল এলাকায় এক শতক জমির দাম নয় নয় করে ১০ লক্ষ টাকা।

অন্তত পাঁচ শতক জমির উপরে তৈরি হয়েছে এই সুবিশাল বাড়িটি। স্থানীয়রকা জানাচ্ছেন, জমি-বাড়ি মিলিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বিবিনের মামার নামে। হঠাৎ কেন এত বড় বাড়ি উপহার দিলেন দিদি?  জবাবে হাবিবুর বলেন, ‘‘দিদি কেন দান করেছেন, সেটা তো দিদিই জানেন। দিদি আমাকে ভীষণ স্নেহ করেন, এইটুকু বলতে পারি।’’

এদিকে, লতিফা বেওয়ার স্বামী আমজাদ আলি ছিলেন রাজ্য পুলিশের এসআই। দীর্ঘদিন পুলিশের চাকরি করে ডোমকল বাজারে ছোট্ট একটা বাড়ি বানিয়েছিলেন তিনি। সায়গলের যখন চার বছর বয়স, তখন মারা যান আমজাদ।

স্বামীর পেনশনের টাকায় কষ্ট করেই একমাত্র ছেলেকে বড় করেছেন লতিফা। পরে সায়গলও রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান। বীরভূমের পুলিশ লাইন থেকে তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন অনুব্রত৷ এর পর থেকেই বদলে যায় সহগলের৷ ডোমকল বাজারে প্লালই বাড়ি হাঁকিয়ে বলেন তিনি৷ বেআইনি টাকা শুধু নিজের নামেই রাখেননি সায়গল, ছড়িয়ে দেন আত্মীয়দের মধ্যেও৷