মদনমোহন মন্দিরে মহালক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতি জোরকদমে

একসময় রীতি মেনে একসময় কোচবিহার রাজবাড়িতেও চালু হয় মহালক্ষ্মীর পুজো। এরপর ১৮৮৯ সালে কোচবিহারে প্রতিষ্ঠা হয় মদন মোহন মন্দির। তারপর থেকে এখানে চলে আসছে মহালক্ষ্মীর পুজো। শনিবার সন্ধ্যায় মদন মোহন মন্দিরে থাকা  মন্দিরে মহালক্ষ্মীর পুজো হবে। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখানে মহালক্ষ্মীর সঙ্গে ইন্দ্রের পুজোও হয়। মদন মোহন মন্দিরের মহালক্ষ্মী পুজোয় এখনও বলি পায়রা প্রথার প্রচলন রয়েছে।

মদন মোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, মহালক্ষ্মীর পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কাঠামিয়া মন্দিরে। প্রতিমা বানানো প্রায় শেষ। মন্দিরের রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, কোচবিহার মহারাজার আমলে শুরু হওয়া মহালক্ষ্মীর পুজো বহুকাল আগে কোচবিহার রাজপ্রাসাদে হতো। মদন মোহন মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পুজো এখানে হয়ে আসছে।

সাধারণত লক্ষ্মীর বাহন রূপে সর্বত্র পেঁচা থাকলেও এখানে হাতিকে মহালক্ষ্মীর বাহন হিসেবে দেখা যায়। চারটি হাতি চারদিকে শুঁড় তুলে দাঁড়িয়ে। তার মাঝে মহালক্ষ্মীর অবস্থান। মহালক্ষ্মী এখানে রক্তবর্ণা, চতুর্ভুজা। মহালক্ষ্মীর পুজোয় যজ্ঞ হয়। তারপর পঞ্চব্যঞ্জন, লুচি, মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। মহালক্ষ্মীকে সেই ভোগ উৎসর্গ করা হয়। সেইসঙ্গে জোড়া পায়রা বলি দেওয়ার রেওয়াজ আছে। বলির মাংস মহালক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। পুজোর পরের দিন অর্থাৎ রবিবার প্রথমে ঘট বিসর্জন দেওয়া হবে। পরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। একসময় কোচবিহারের মহারাজারা সুখসমৃদ্ধির কামনায় যে মহালক্ষ্মীর পুজোর সূচনা করেছিলেন, সেই দেবী আজও কোচবিহারের মদন মোহন মন্দিরে অত্যন্ত ভক্তি সহকারে পুজো পেয়ে আসছেন।