রাজ্যে চলছে উপনির্বাচন করবো পর্ব৷ আগামি ৩০অক্টোবর রাজ্যের চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন হতে চলেছে। তবে চারটি কেন্দ্রের নিরিখে হটস্পট হয়ে উঠেছে নদীয়ার শান্তিপুর৷ কারণ, এবারে এখানে লড়াই হচ্ছে চতুর্মুখী৷ বাম এবং কংগ্রেস দু’জনেই এখানে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে৷ আজ বুধবার শেষ প্রচার শান্তিপুরের উপ নির্বাচনের। লড়াইয়ের মাটিতে শেষ দিনেও কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ৷
শান্তিপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন শান্তিপুরের ভূমিপুত্র রাজনীতিতে নতুন মুখ ব্রজোকিশোর গোস্বামী। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক যোদ্ধা শান্তিপুরের ভূমিপুত্র নিরঞ্জন বিশ্বাস। শান্তিপুর উপনির্বাচনে সিপিএম কংগ্রেস আলাদাভাবে লড়াই করছেন। বামফ্রন্ট প্রার্থী সৌমেন মাহাতো অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল। এরা দুজনেই শান্তিপুরের ভূমি পুত্র।
সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটের নিরিখে শান্তিপুর উপনির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তার কারণ তিন মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ১৬হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অজয় দে। জগন্নাথ সরকার সাংসদ হওয়ার কারণে তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ কারণেই শান্তিপুরের উপনির্বাচন হতে চলেছে।
শেষদিনের প্রচারে প্রতিটি অলিতে গলিতে রাজনৈতিক দলগুলি সকাল থেকেই নেমে পড়েছেন। তাদের প্রার্থীকে জেতার জন্য ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের নিজেদের প্রার্থীর ডয়ের বিষয়ে আশাবাদী। ইতিমধ্যেই শান্তিপুর প্রচার করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ বসু সহ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা মন্ত্রীরা। অন্যদিকে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতারা।