উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথের নবরূপান্তর ঘটিয়ে কোলাহলের চতুর্থ প্রযোজনা হিসেবে আসছে মুখোশতন্ত্র। অনুভব কালচারাল গ্রুপের আমন্ত্রণে এটি প্রথম মঞ্চস্থ হবে ৪ এপ্রিল, চিত্তরঞ্জনের রবীন্দ্র মঞ্চে।
সাত বছর পর অভিনেতা তথা সমাজকর্মী নাইজেল আক্কারা মুখোশতন্ত্রের সঙ্গে মঞ্চে ফিরছেন। এই নাটকের নবরূপ দিয়েছেন পরিচালক প্রাজ্ঞ দত্ত। তৎকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের ফোক ও মার্শাল ডায়ালেকটিক্স মিশিয়ে তিনি তা মঞ্চে উপস্থাপন করেছেন। এই নাটকে বাংলার ছৌ ও রায়বেশী মার্শাল ফোক ফর্ম এবং দক্ষিণ ভারতের মার্শাল ফর্ম কালারি ও সিলম্বম ব্যবহার করা হয়েছে, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কালী ফিলিপিন আর্ট ও হাকা মাওরি আর্ট।
নাটকের লাইট ডিজাইনের পরিকল্পনা করেছেন কল্যাণ ঘোষ, পিরিয়ডিক কস্টিউম করেছে সাজসজ্জা ও সাউন্ড ডিজাইন করেছেন বন্দন মিশ্র। অভিনেতা ও কলাকুশলীদের অধিকাংশই এসেছেন কোলাহল থেকে। নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন নাইজেল। অভিনেত্রী অস্মিতা মুখার্জি লেডি ম্যাকবেথের ভূমিকায় এবং কবি ও অভিনেতা দেবাশিস সরকার অভিনয় করেছেন ডানকানের ভূমিকায়। প্রাজ্ঞ দত্ত নিজে এই নাটকে রয়েছেন ম্যালকমের চরিত্রাভিনয়ে।
কবি শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত নাটকের চরিত্রগুলি ব্যবহার করা হলেও মুখোশতন্ত্রে সেগুলি অন্যরকম রূপ পেয়েছে। এখানে তাদের জীবন মন্দের মধ্যে ভালো এবং ভালোর মধ্যে মন্দ। শেক্সপিয়ারের নাটকের ক্যানভাসে এই নাট্যরূপকে ইতিহাস ও কল্পনার মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে এক নতুন অত্যাধুনিক নাটকীয় অনুকরণের মধ্যে ধরা পড়েছে আদিম সরলতা ও আধুনিক অবক্ষয়।