প্রশ্নের মুখে পুলিশের পেশাদারিত্ব! মালদহের তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় এসপির ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ দিনের ব্যবধানে এবার আরও এক তৃণমূল নেতা খুন!যেকোনও খুনের ঘটনায় নমুনা সংগ্রহ করতে হলে জীবাণুমুক্ত টেস্ট টিউব বা বিজ্ঞানসম্মত পাত্রর প্রয়োজন পড়ে। অথচ মালদহে তৃণমূল নেতা খুনের তদন্তে নেমে মঙ্গলবার পুলিশ যা করল, তাতে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন সকালে কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি রাস্তার শিলান্যাস করতে গিয়েছিলেন বকুল শেখ। সেখানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে লক্ষ্য করে আততায়ীরা গুলি চালায়। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে হাসান শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর। গুলিবিদ্ধ হন বকুল ও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এহেসানউদ্দিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় খাবারের দোকান থেকে সাধারণ পলিথিন ব্যাগ ও চামচ নিয়ে তাতে করে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
তারই জেরে ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের পেশাদারিত্ব। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, পুলিশ কি জানত না যে মার্ডার কেসের তদন্তে যাচ্ছে? তাহলে সঙ্গে নমুনা সংগ্রহের জন্য জীবানুমুক্ত পলিথিন নিয়ে গেল না কেন? কেন তার পরিবর্তে বাজারের দোকান থেকে সাধারণ পলি ব্যাগে করে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হল? তাও আবার খাবারের দোকানের চামচে করে? এতে কি তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় থাকবে?এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে সামনে এসেছে খুনের ঘটনার সেই চাঞ্চল্যকর ভিডিও ফুটেজ।