যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আর্জি

করোনা সংক্রমণের তান্ডবে বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাঝে কয়েক দিনের জন্য খুললেও ওমিক্রনের দাপট শুরু হলে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার নির্দিষ্ট শ্রেণি এবং কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয় খুলেছে। কিন্তু সার্বিকভাবে আগের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতির জন্য যে শিশুদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে তা স্পষ্ট করে দিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য সরকারকে দ্রুত স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছেন।

অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি আর ওদিকে কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয় খুলেছে ঠিকই, কিন্তু আগের মতো স্কুল-কলেজের পরিবেশ তৈরি হয়নি। এদিকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ চালু করেছে সরকার যা এমনিতেই সমালোচিত। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিরাট হতাশা জাহির করে নোবেলজয়ী বাঙালি বলেন, শিক্ষায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এইভাবে স্কুল বন্ধ রাখার ফলে। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণির অঙ্ক করতে পারছে না এমনও দেখা গিয়েছে। এখন যেভাবে পড়ানো হচ্ছে তা সঠিক পদ্ধতি নয়। এই কারণেই স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খোলার পক্ষেই সওয়াল করেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি তিনি অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্টও প্রকাশ করেছেন।

এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই কোভিড আবহে। আবার স্কুলগুলিতে ৯০ শতাংশ নাম নথিভুক্ত থাকলেও তাতে উপস্থিতির হার চলে এসেছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই অবশ্যই উদ্বেগ বাড়ছে পড়ুয়াদের নিয়ে। এই তথ্য পেশ করেই অভিজিৎ জানান, স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে পড়ুয়াদের অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার জন্যই এই অবস্থা। পড়ুয়াদের রিডিং লেভেল একধাক্কায় অনেকটা কমেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  তাই দ্রুত স্কুল খুলতে হবে রাজ্য সরকারকে।