শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছে পুন নির্বাচনের কেন্দ্রে

ঘোষণা করা হয়েছিল পুন নির্বাচনের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মঙ্গলবার রাজ্যের দুটি বুথে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব৷ উল্লেখ্য রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট হয়৷ দিনভর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসে হিংসার খবর৷ দেদার ছাপ্পা ভোট, অভিএম ভাঙচুর, অস্ত্র হাতে দাপাদাপি সবটাই দেখেছে গোটা বংলা৷ প্রায় সব জেলা থেকেই কম বেশি সন্ত্রাসের ছবি উঠে আসে৷ শাসক দলের বিরোধিতা করে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাকও দেয় বিজেপি৷ তবে জেলা শাসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে মাত্র দুটি বুথে পুর্নির্বাচমের নির্দেশ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷  দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরের দুটি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বুথ চত্বর। কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা, সে দিকেও নজর রাখা হয়েছে৷ 

আজ সকাল ৭টা থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে এবং শ্রীরামপুর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথ মাহেশ যুব কিশোর সঙ্ঘে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ৷ অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দুটি বুথেই। শ্রীরামপুরে বুথে ঢোকার সমস্ত রাস্তা কার্যত ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় পুনর্নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ চোখে পড়েনি৷ খুব বেশ মানুষকে বুথমুখী হচ্ছেন না। উল্লেখ্য, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের মায়া মাইতি, বিজেপি প্রার্থী বীনা প্রসাদ ও সিপিএমের প্রার্থী রিতা দাস। আর শ্রীরামপুরে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শর্মিষ্ঠা দাস, বাম প্রার্থী ভারতী সেন ও বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়।  

রিপোর্ট বলছে রাজ্যের প্রায় ২৪টি জায়গায় ইভিএম ভাঙা হয়েছে৷ তারপরেও কেন মাত্র ২টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল কমিশন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ তবে জেলা শাসকদের পাঠানো প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, ইভিএম ভাঙলেও তথ্য বিলোপ হয়নি৷