সেপ্টেম্বর মাসটিকে ‘পিসিওএস সচেতনতা মাস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) সম্পর্কে শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয় মহিলার জীবনকে প্রভাবিত করার আশা রাখে।
বিখ্যাত পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা, শীলা কৃষ্ণস্বামী, পিসিওএস উপসর্গগুলিকে প্রাকৃতিকভাবে পরিচালনা করার বিষয়ে তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে পাঁচটি মূল পরামর্শের কথা উল্লেখ করা হল। প্রথমত, সুষম খাবারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যেমন ফল, শাকসবজি, শাক, গোটা শস্য, ডাল এবং বাদামের মতো পুষ্টিকর খাবার। নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার বেছে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। এতে রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যেমন লেবু, গোটা শস্য, বীজ এবং বাদাম। সবচেয়ে জরুরি হল সক্রিয় থাকা, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ানো।
এক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম যেমন দ্রুত হাঁটা, সাঁতার বা যোগব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হল হাইড্রেটেড থাকা। বিপাক, হজম, এবং উপসর্গ উপশম করতে প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস জল পান করা দরকার। আরেকটি বিশেষ পরামর্শ হল মানসিক চাপ কমানো। সেজন্য ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, বা মননশীল অনুশীলনের মতো মানসিক চাপ কমানোর কৌশল প্রয়োগ জরুরি। এছাড়াও পিসিওএস পরিচালনার জন্য ব্যক্তিগত পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার (এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বা গাইনোকোলজিস্ট) এবং একজন যোগ্য ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলা দরকার।