সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি। এই লাইনটি আজ যথার্থ ভাবে সার্থকতা পেয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে। তবে তেত্রিশ বছর নয় প্রায় ২৫ দিন হতে চলেছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর ঠিকানা এখন প্রেসিডেন্সি জেল। আর এখানেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথাটি সার্থকতা পেয়েছে।
অর্থাৎ শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ তাঁর খোঁজ নিচ্ছেন না। সূত্রের খবর, এদিন ভারাক্রান্ত জেলবন্দী নেতা তাঁর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, দলের কেউ কি তাঁর খোঁজ নিয়েছেন ! বিশেষ করে দলনেত্রী ! আর আইনজীবীদের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় যে বেহালার কিছু নিচুতলার কর্মী তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন । দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ তাঁর খোঁজ রাখছেন না । অতএব তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে না ভেবে তিনি যেন নিজের মামলা নিয়েই ভাবনাচিন্তা করেন। এই শুনেই মন খারাপ হয়ে যায় একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুই নম্বর মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই কেন্দ্র, বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । ‘কেষ্ট’র পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি । তাতে আপ্লুত কেষ্টও । আর এতেই কি আরও ভেঙে পড়েছেন পার্থ ? এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল সাংসদ মালা রায় । প্রথমে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন তাঁরা । এরপর ঋষি অরবিন্দের সেল ঘুরে দেখেন তাঁরা । যান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের সেলেও । সংশোধনাগারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও সামিল হন তাঁরা । এদিন মোট ৯৯ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । তাঁদের হাতে পতাকাও তুলে দেওয়া হয় । সব মিলিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন মালা রায় ও শশী পাঁজা । কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কারন আইনজীবীর কাছ থেকে একথা শোনা মাত্রই এদিন সকাল থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলে মনমরা হয়েছিলেন পার্থ ।