করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ ঊর্ধ্বমুখী বঙ্গ করোনা ভাইরাস নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। এখনও কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি৷ এই পরিস্থিতিতে ত্রাস ছড়িয়ে রেখেছে মাঙ্কিপক্স, সোয়াইন ফ্লু, টম্যাটো ফ্লু। এছাড়াও আতঙ্ক বৃদ্ধি করছে ভুমিকম্প, পাহাড়ি ধস, বৃষ্টি, বন্যা। তালিকা যেন শেষ হওয়ার নয়।
কিন্তু মানুষের বিভীষিকার কোনও যে অন্ত নেই তা প্রমাণ করল আরও একটি রোগের প্রকোপ। ‘নাইরোবি ফ্লাই’ ভয় ধরাচ্ছে সকলের। প্রথমে সিকিমে এই আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল। এখন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ইতিমধ্যেই উপদ্রব দেখা দিয়েছে এর।
কী এই রোগ তা জানতে উৎসুক সকলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নাইরোবি ফ্লাইয়ের। কামড়ায় না, হুলও ফোটায় না। তবে গায়ের উপর বসলে ত্বকে জ্বালা ধরায়। আসলে তাদের শরীরে অ্যাসিড জাতীয় কিছু পদার্থ থাকে যা মানুষের ত্বকে ফেলে তারা। যে কারণে জ্বালা করে।
যদিও এই জ্বালা বা ত্বকের সমস্যা দু’সপ্তাহের মধ্যে কমেও যায় বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে সাধারণ মানুষের ভয় কিছুতেই কমছে না। ইতিমধ্যে খবর মিলেছে, সিকিম মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ক্যাম্পাসে এর বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। প্রায় ১০০ পড়ুয়ার ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। আবার বাংলার কার্শিয়াংয়ে এক তরুণীর এই সংক্রমণ ঘটে।
পতঙ্গবিদদের মতে, এই মুহূর্তে যেমন আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা আছে তাতে এই ধরণের পোকার উপদ্রব হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। মূলত বর্ষায় এর প্রকোপ বাড়ে, তবে এখন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি তেমন না হলেও উত্তরবঙ্গে ঢেলে হচ্ছে। তাই সেখান থেকেই এই রোগ ছড়াচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, অতিবৃষ্টির জেরে দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটে এদের। উল্লেখ্য, এই পোকাকে কেনিয়ান ফ্লাই বা রাগন পোকাও বলা হয়। এই পতঙ্গের দুই প্রজাতি রয়েছে। একটি কমলা ও অন্যটি কালো। ১৯৯৮ সালে কেনিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অংশে এই পোকা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করছিল।