নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত নাকি উচ্চবিত্ত আপনার পরিচয় যাই হোক না কেন? খোলস ছাড়ালে পেয়াজ কিন্তু সবাইকেই কাঁদিয়ে ছাড়ে। তবে কৃষকেরা পেয়াজের খোলস না ছাড়ালেও নিত্যদিন তাদের কাঁদতে হচ্ছে। কারন একটাই মহারাষ্ট্রের বুলধানা, অমরাবতী, আকোলার মতো জেলাগুলোর ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ তিন থেকে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে লাভের আশা এই পরিস্থিতিতে সেগুঁড়েবালি, অর্থাৎ উৎপাদন খরচই ওঠানোই কঠিন হয়ে গেছে কৃষকদের কাছে। তাই দাম কমে যাওয়ায় হতাশ কৃষকরা পেঁয়াজ মজুত করতে শুরু করেছেন। পরে দাম বাড়লে বিক্রি করার আশা করছেন তারা। তবে এর জন্যে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে কৃষকদের। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উৎপাদিত পেঁয়াজ কালামনায় পৌঁছাতে কৃষকদের খরচ হয় কেজিপ্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে তা কেবল সেরা মানের জন্য। নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে একেবারে জলের দামে।
এদিকে, ভারতে এই মুহূর্তে পেঁয়াজ রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ভারতের অন্যতম প্রধান ক্রেতা বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি আপাতত বন্ধ রেখেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রপ্তানির সুযোগ পেলে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়তে পারে।