গ্রেফতার আরিয়ান মামলার অন্যতম সাক্ষী

আরো এক নয়া মোড় নিলো বলিউডের মাদক মামলা৷ আরিয়ান খান মাদক মামলায় নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করল পুণে পুলিশ৷ পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে পুরনো একটি মামলায় আটক করা হয়েছে৷ বুধবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়৷ 

২০১৮ সালে একটি প্রতারণা মামলায় গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছিল পুণে পুলিশ৷ এর পর থেকেই গা ঢাকা দেয় গোসাভি৷ সম্প্রতি একটি অডিও প্রকাশ্যে আসে৷ যেখানে নিজেকে গোসাভি বলে পরিচয় দিয়ে লখনউয়ের থানায় ফোন করেন এক ব্যক্তি৷ তিনি আত্মসমর্পন করতে চান বলেও জানান৷ গোসাভি জানান, মহারাষ্ট্রে তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন৷ তাই লখনউতে আত্মসমর্পনের কথা বলেছিলেন৷ যদিও গোসাভির দাবি খারিজ করে দেয় লখনউ পুলিশ৷ প্রতারণ মামলা ছাড়াও সম্প্রতি আরিয়ান খান মামলায় আর্থিক লেনদেনের বিতর্কে নাম জড়ায় তাঁর৷

২ অক্টোবর রাতে মুম্বইয় থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে এনসিবি কর্তারা যখন হানা দিয়েছিলেন, সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিরণ গোসাভি। ওই পার্টিতে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি রয়েছে তাঁদের৷ পরে এনসিবি’র অফিসে বসেও শাহরুখপুত্রের সঙ্গে নিজস্বী তোলেন তিনি। এই দুই ছবি একাধিক প্রশ্ন তুলেছে৷ এনসিবি তাঁকে আরিয়ান মামলার সাক্ষী করেছে। তবে কিরণ গোসাভির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ এবার পুরনো এক মামলায় পুণে পুলিশ তাঁকে আটক করল৷

এদিকে, রবিবার গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল দাবি করেন আরিয়ানের মুক্তির জন্যে টেলিফোনে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া নিয়ে গোসাভিকে কথা বলতে শুনেছিলেন তিনি। তাঁর পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই টাকা আদায় করা৷ ২৫ কোটি না মিললে ১৮ কোটিতে তিনি রফা করার ছক কষেছিলেন৷ এর মধ্যে আট কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাইভেট ডিটেক্টিভ গোসাভি। ঘুষের বিষয়ে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম বার এই বিষয়টি আমি শুনছি।’’ এমনকী এর আগে তিনি ওয়াংখেড়েকে চিনতেন না বলেও দাবি তাঁর৷