এই মুহূর্তে রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে শিরোনামে এখন একটাই নাম পার্থ- অর্পিতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘দৌলতে’ এখন গোটা বাংলা বা দেশ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চেনে। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি নগদ সহ বিপুল সোনা, রূপো, জমির দলিল, মোট প্রায় ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
অর্পিতার আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে এবং আরও অনেক টাকা উদ্ধার হবে বলে অনুমান। কিন্তু তিনিই যে একমাত্র পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ তা নয়। ইডির নজরে আছে আরও ৪ মহিলা! সূত্রের খবর, এই চারজনের মধ্যে আছেন এক আইএএস অফিসার এবং একজন অধ্যাপিকা।
এছাড়াও দুজনের নাম সামনে এসেছে যাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বহু অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।
তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীদের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন তিনি এবং তাঁর প্রভাবেই এই কাজ করতেন৷ তাঁর নিজের চাকরিও সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি বলেও একাংশের দাবি। অনেকে আবার জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক প্রভাব দেখাতেন তিনি।
কার্যত কব্জায় নিয়ে এসেছিলেন নিজের। সবকিছু সম্ভব হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। এমনকি তাঁর কারণ ছাড়াই পদোন্নতি হয়েছে বলেও সরব একাংশ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি জানান, যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যে, তিনি সৎ পথেই চাকরি পেয়েছেন।
চর্চা চলেছে আরও এক অধ্যাপিকা৷ যিনিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’। উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের শুরুর দিকে রাতারাতি ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অধ্যাপিকার নির্দেশে হয়েছিল এই নিয়োগ, এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
একই সঙ্গে দাবি, গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যকে অপসারণ করে ওই পদে বসানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’কে৷ আর ১১ জনের নিয়োগের সময়ে কাউন্সিলের কোনও বৈঠক হয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অধ্যাপিকাকে।