গত সপ্তাহেই আচমকাই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। গত সপ্তাহের শুক্রবার রাতেই নিউইয়র্কে একটি ইনস্টিটিউশনে বক্তব্য রাখার সময় প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে বুকার জয়ী সাহিত্যিক তথা ভারতীয় বংশভূত লেখক সলমন রুশদির ওপর।
এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি৷ এরই মধ্যে বারবার প্রাণনাশের হুমকিতে আতঙ্কিত বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ সেই আতঙ্কের কথা নিজেই জানিয়েছেন লেখিকা৷
ধর্মীয় ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্যে বহুবার ফাঁপড়ে পড়ছেন বাংলাদেশি লেখিকাকে। তাঁর বিরুদ্ধে কখনও ফতোয়া জারি করা হয়েছে, কখনও বা দেওয়া হয়েছে মাথার দাম। কিন্তু, যে ভাবে সলমন রুশদিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে বেশ চিন্তায় ‘সাহসী’ তসলিমা।
গত ১৩ অগাস্টের ঘটনা৷ পাকিস্তানে এক বিরাট সভা থেকে এক মুসলিম ধর্মগুরু নতুন করে তসলিমাকে ‘হত্যা’র কথা বলেন! পাকিস্তানে যে ভাবে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাতে চিন্তায় পড়েছেন লেখিকা৷
তসলিমা বলেন, “এর আগেও আমার বিরুদ্ধে অনেক ফতোয়া জারি হয়েছে। কিন্তু, এভাবে প্রকাশ্য জনসভা থেকে প্রথমবার আমাকে হত্যার কথা উল্লেখ করা হল। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ আমার টুইটার অ্যাকাউন্টে চোখ বোলালেই বুঝতে পারবেন, রুশদির ঘটনার পর অনেকেই লিখছেন, পরবর্তী নিশানা নাকি আমি।“
এই টুইটগুলো রেখে দেওয়া উচিত নাকি মুছে ফেলা, বুঝতে পারছি না। হয়তো রেখে দেওয়াই ভাল। কারণ আমার সঙ্গে যদি সত্যিই এমন কিছু ঘটে তাহলে অন্তত মানুষ তা জানতে পারবে। আমারও নিরাপত্তা রয়েছে। কিন্তু রুশদির সঙ্গে যেটা হল, তারপর নিরাপত্তাহীনতা অনুভূত হতেই পারে।
১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে তসলিমার একটি টুইট ঘিরে হইচই পড়েছিল। সেখান লেখিকা লিখেছিলেন, ‘‘তোমরা মানুষ খুন করো!!’’ সেখানেই জনৈক জেন শেখের টুইট জুড়ে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি। ওই টুইটে তিনটি ছুরির ছবি দিয়ে তসলিমাকে ট্যাগ করে লেখা হয়েছিল ‘‘পরের নিশানা তুমি।’’