নিকি যাদব হত্যাকাণ্ডে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য

শ্রদ্ধা ওয়ালকারের নৃশংস খুনের ঘটনার পর আবারও এক নৃশংস ঘটনা৷ গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার পর নৃশংস ভাবে নিকির শরীর দুমড়ে মুচড়ে ভরা হয়েছিল লাগেজ ব্যাগে৷ তার পর সেটি রেখে আসা হয় দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির ধাবায় আনা নীল রঙের নতুন ফ্রিজের মধ্যে৷ সেই ফ্রিজের দরজা খুলতেই বেরিয়ে আসে নিকি যাদবের দেহ৷ এমনটাই জানিয়েছেন নিকি যাদব হত্যার তদন্তকারীরা৷

সপ্তাহ তিনেক আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মিত্রাওঁ গ্রামের বাইরে খোলা হয়েছিল ধাবাটি৷ প্রায় বন্ধ ধাবার নতুন ফ্রিজে দিন কয়েকের জন্য প্রেমিকার মৃতদেহ রাখা নিয়ে বেশি ভাবেননি নিকির লিভইন পার্টনার সাহিল গেহলট৷ সাহিল নিজেও মিত্রাওঁ গ্রামেরই বাসিন্দা৷ নিকি হত্যার তদন্তে নেমে একের পর এক জয় খুলছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘ঘটনাটি ঘটে ১০ তারিখ ভোরে। নিকির ইচ্ছা হয় হিমাচল প্রদেশে যাওয়ার৷ নিকিকে নিয়ে বাস ধরার জন্য কাশ্মীর গেটের উদ্দেশে রওনা হন সাহিল। সেখানেই ঝগড়া বাধে তাঁদের৷ গাড়িতে থাকা মোবাইলের তার দিয়েই শ্বাসরোধ করে খুন করেন প্রেমিকাকে।’’

ওই তদন্তকারী অফিসার আরও জানান, নিকির মৃতদেহ নিয়ে সোজা ধাবার পথ ধরেন। রাস্তায় নিকির সমস্ত বেড়ানোর ব্যাগ ফেলে দেন এবং প্রেমিকার দেহ দুমড়ে মুচড়ে নিজের বেড়ানোর ব্যাগে কোনও মতে ভরে নেন৷ এর পর সেটি ফ্রিজের ভিতর ঢুকিয়ে রাখে সাহিল। তার পর রওনা দেন বাড়ির পথে।