এই মুহূর্তে রাজ্যে চলছে টাকা উদ্ধার কার্য। রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। অর্পিতার একের পর এক ফ্লাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বেলঘরিয়ার পর এবার বালিগঞ্জের একটি ফ্ল্যাটেও শুরু হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধরপাকড়।
জানা যাচ্ছে, ৮ নম্বর বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টের একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। বেলঘড়িয়ার পাশাপাশি বুধবার এই বাড়িতেও ঢুকে তল্লাশি অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রে খবর, আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই বাড়িতে থাকা একটি লকারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নথি, এমনকি টাকাও থাকতে পারে। আর তাই এই লকার খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আনা হচ্ছে লকার ভাঙ্গার জিনিসপত্র।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে টালিগঞ্জের পর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘড়িয়া রথতলার ফ্ল্যাট থেকেও মিলেছে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। তবে ঠিক কত টাকা উদ্ধার হয়েছে এদিন তা এখনো জানা যায়নি।
ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই ফ্ল্যাটের টাকা গনার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীসহ তিনটি টাকা গোনার মেশিন আনা হচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘড়িয়ার ফ্লাটে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে ওই ফ্ল্যাট থেকেও মিলেছে বিপুল অর্থ।
অন্যদিকে এদিন গোয়েন্দাদের আরও একটি দল পৌঁছে যায় বেলঘরিয়ার আব্দুল লতিফ স্ট্রিটে অর্পিতার পৈতৃক বাড়িতে। বর্তমানে সেই বাড়িতেই রয়েছেন অর্পিতার মা। তিনি প্রাথমিকভাবে ইডির আধিকারিকদের বাড়িতে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করেন। পর অবশ্য ইডি ওই বাড়িতেও তল্লাশি চালায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসন ডায়মন্ডসিটি সিটি ইস্টে থাকা অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রায় ২২ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। সি সঙ্গে মেলে প্রচুর সম্পত্তির দলিল ও নথি। এরপরেই শুক্রবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হজাফতে নেয় ইডি। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার অর্পিতাকেও গ্রেফতার করা হয়। শুরু হয় তদন্ত।
আর তাতেই জানা যায়, একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার নামে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে একাধিক জমি, বাগানবাড়ি ও বাড়ি।। তার মধ্যেই একটি বেলঘড়িয়ার ওই ফ্ল্যাট ও বালিগঞ্জের বাড়ি।