এই মুহূর্তে রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতি রামপুরহাট কাণ্ডে। কলকাতা হাইকোর্ট রামপুরহাট কাণ্ডে রাজ্য সরকারের সিট সরিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআইকে। এই নির্দেশ আসার পরেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্ত ভার হাতে নিয়েই এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১০টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২২ জন গ্রেফতার হয়েছে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ১২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। এদিকে মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআরে নাম থাকা আরও ৭০ জন এখনও পলাতক। আজ ১৫ সদস্যের সিবিআই আধিকারিক-সহ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল রামপুরহাটে আসছে। দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে শুরু হবে বগটুই-কাণ্ডের কেন্দ্রীয় তদন্ত বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই ইতিমধ্যে যে অভিযোগ দায়ের করেছে বগটূই কাণ্ডে তাতে রয়েছে খুন, খুনের চেষ্টা, আগুন লাগিয়ে খুন এবং হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ।
ঘটনার পরেই নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছিল যে, আনারুলের নেতৃত্বেই ঘরে আগুন লাগানো হয়, পুলিশকেও সে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গতকাল গ্রামে গিয়েছিলেন তখন তাঁকেও একই কথা বলে গ্রামবাসীরা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনারুল। গতকাল রামপুরহাট আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে। যদিও আনারুল এখনও পর্যন্ত দাবি করছে যে সে নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। যখন ঘটনা ঘটে তখন নাকি তিনি গ্রামে ছিলেন না, হাসপাতালে ছিলেন। এদিকে তাঁর অনুগামীদের আরও বিস্ফোরক দাবি। তারা বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল ফাঁসিয়েছেন আনারুলকে। তিনি ভালো লোক।