কেন্দ্রের চিঠি প্রাপ্তির পরেই ফের বাধ্যতামূলক হলো মাস্ক

চলতি বছর শুরুর থেকে স্বস্তি দিলেও এবার আবার নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লির মতো একাধিক রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করায় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই পার করেছে চার হাজারের গণ্ডি। অন্যদিকে ফের একটু একটু করে বাড়ছে দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যাও। আর তাই করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের কোমর বেঁধে মাঠে নামছে মহারাষ্ট্র সরকার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সমস্ত করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে হওয়ার পর মারাঠাভূমিতে  মাস্ক পরাও আর বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু শনিবার ফের মহারাষ্ট্রে বাধ্যতামূলক হল মাস্ক। এমনকি যারা করোনার বিধিনিষেধ তথা মাস্ক পরার এই নিয়ম নীতি অবজ্ঞা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিল ঠাকরে সরকার।

উল্লেখ্য গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রের দৈনিক আক্রান্তের বেড়ে হয়েছে ১১৩৪। ফেব্রুয়ারির পর ফের হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরপরই শনিবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব প্রদীপ ব্যাস সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে লোকালয়ে মাস্ক পরা ফের বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে গতবারের করোনা পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র যেমন মাস্ক না পড়লে জরিমানা আদায়ের মতো কঠিন পথে হাঁটা হয়েছিল এখন সেই সমস্ত কোন নিয়ম নীতি জারি করছে না শিবসেনা সরকার। প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক না পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে কিনা সে ব্যাপারে তাঁরা চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছতেই শনিবার দেশের পাঁচটি রাজ্য যথা কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানাকে সর্তক করে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায় তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। আর সেই চিঠি পাওয়ার পরই জেলা শাসকদের পাল্টা চিঠি দিয়ে মাক্স পরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘ট্রেন, বাস, সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, বিভিন্ন অফিস, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজগুলোতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সাধারণ মানুষ যাতে এই নির্দেশ মেনে চলেন তার জন্য নজরদারি চালাতে হবে সরকারি আধিকারিকদের।’