একের পর এক শিকার কাবুল, চলতি সপ্তাহে আবার একবার বিস্ফোরণের শিকার হল। এই নিয়ে বিগত দু মাসের মধ্যে বেশ কয়েক বার হামলার শিকার হলো কাবুল। কাবুলের মসজিদে ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ। জানা যাচ্ছে, ওই মসজিদে যখন চলছিল নামাজ পাঠ, ঠিক তখনই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ওই মসজিদের ভিতরে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত অন্তত ৪০। তবে এখনো চলছে উদ্ধার কাজ। ফলে আগামীতে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রের খবর এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই মসজিদের ইমামও নিহত হয়েছেন। সূত্রে জানা যাচ্ছে কাবুলের উত্তর প্রান্তে একটি মসজিদে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যার প্রার্থনায় ওই মসজিদে তখন বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন।
আচমকাই জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা মসজিদ চত্বর। তালিবান সরকারের এক মুখপাত্রের কথায়, এই বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলেই কুড়িজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো অনেকটাই বেশি। আহত এবং নিহতদের মধ্যে একাধিক শিশুও রয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশে কয়েক কিলোমিটারে অবস্থিত একাধিক বাড়ির জানালা এবং দেওয়াল কেঁপে ওঠে।
খবর অনুযায়ী এখনো ওই মসজিদ চত্বরে চলছে উদ্ধারকাজ। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এবং আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর কাজ চলছে।
উল্লেখ্য কাবুলে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার জুম্মাবারের নামাজ চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরের সুন্নী মসজিদ। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সেই সময় মারা গিয়েছিলেন ৩৩ জন।
এমনকি রমজানের শেষেও একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল কাবুলের বিভিন্ন মসজিদের। দিন কয়েক আগেই আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লীগের ম্যাচ চালাকালীন স্টেডিয়ামে আত্মঘাতী হামলার একটি ঘটনা ঘটে।
সেই ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। ফলে বহু মানুষই এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তার মধ্যেই বুধবার সন্ধ্যাবেলায় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা আতঙ্ক আরও কয়েকগুণ বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই হামলার দায়ের স্বীকার করেছে আইএস তথা ইসলামিক স্টেট। এই জঙ্গি গোষ্ঠীই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে দুদিন আগেই মাজারি শরীফের দুটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।