কোচবিহার: শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমী তে বিশেষ ময়না কাঠ পুজোর মধ্য দিয়ে সূচনা হলো কোচবিহারের রাজ আমলের বড় দেবীর পূজো। কোচবিহারে ভাঙ্গরাই মন্দিরে আজ এই বিশেষ ময়না কাঠ পূজো অনুষ্ঠিত হয়। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে কোচবিহারের মহারাজা নর নারায়ণ এর আমলের এই পুজোর সূচনা হয়। কথিত রয়েছে মহারাজা নর নারায়ণ স্বপ্নে বড় দেবীকে দেখতে পান। দেবীর স্বপ্নাদেশ মেনে শুরু হয় পূজো। তখন থেকেই কোচবিহারের দেবী বাড়িতে হয়ে আসছে বড় দেবীর পুজো। বর্তমানে রাজা নেই ।
নেই রাজার রাজত্ব কিন্তু আজও শ্রদ্ধার সাথে পূজিত হয় বড় দেবী। এক সময় এই বড় দেবীর পুজো তে নরবলি প্রথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে নর বলি না হলেও এখনো বিশেষ গুপ্ত পূজোয় বড় দেবীকে নর রক্ত দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমী থেকে এই বড় দেবীর পূজোর সূচনা হয়। কোচবিহারের ভাঙ্গরাই মন্দিরে যূগছেদন এর মধ্য দিয়ে এই পুজোর সূচনা হয়।
একটি ময়না গাছ কেটে সেটিকে মন্দিরে নিয়ে এসে সেই ময়না কাঠ টিকে মহাস্নান করানো হয় একই সঙ্গে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই ময়না কাঠ দিয়েই তৈরি হয় বড় দেবীর প্রতিমার মেরুদন্ড। ভাঙ্গরাই মন্দিরে এই বিশেষ পুজোর পর সন্ধ্যায় সেই ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে একমাস ধরে চলে বিশেষ পুজো।