কাজকর্মের গতিপ্রকৃতির তলব মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগবাজারের ‘মায়ের বাড়ি’র সম্পূর্ণ সংস্কারের করে হেরিটেজ টুরিজম বিকাশের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি বাগবাজারের মায়ের বাড়ির বিপরীতে বস্তিবাসীদের ৩০০ বর্গফুটের একটা করে ফ্ল্যাট দেওয়ার আশ্বাস দেন। সেই মত প্রথম ধাপে কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ টি পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর বাপি ঘোষ।
তিনি জানান যে, এদিন ‘মায়ের বাড়ি’ প্রকল্পে নিয়ে একটা বৈঠক হয়। বৈঠকে ‘মায়ের বাড়ি’র কাজকর্মের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কমিশনার বিনোদ কুমার সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডি জি। বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে যে, করোনা মহামারীর পর মায়ের বাড়ির যে কাজ থমকে গিয়েছিল, সেই কাজ যাতে পুজোর আগে অবার শুরু করা যায়। বাপি ঘোষ জানান যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র ঘোষণা অনুযায়ী ৩০০ পরিবারকে ‘মায়ের বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। এক–একটি ফ্ল্যাট তৈরিতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ভাগে কাজ শীগ্রই শুরু হবে বলে। মোট ৪ টি ব্লকে ভাগ করে স্থানীয় বস্তিবাসীদের মোট ৫০০ টি ফ্ল্যাট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি ব্লক সম্পূর্ণ করার জন্য ৬ মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনা আর নির্বাচনকে ওয়াজুহাত দেখিয়ে নিজের ব্যর্থতা ধামাচাপা করার চেষ্টা করছে কলকাতা পৌর সংস্থার বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। উল্লেখযোগ্য বিষয়, মায়ের বাড়ির জন্য তহবিল প্রথমে জওহরলাল নেহরু নেশনাল আরবান রেনেওয়াল মিশনের অধীনে প্রকল্পে অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পের নাম বদল করে মায়ের বাড়ি করে দেয়। ‘মায়ের বাড়ি’ প্রকল্পে আবাসন তৈরির জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।