আসন্ন সময়েই আশংকা হচ্ছ ওমিক্রনের ঝড়ের

সুনামির মতো বাড়ছে দেশ জুড়ে ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার ভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতি ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি সংক্রামক তা আগেই জানা গিয়েছিল। মারণ ক্ষমতা কম জানার পর সকলে একটু স্বস্তি পেয়েছিল বটে, কিন্তু এখন যে হারে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বিন্দুমাত্র স্বস্তি থাকছে না। উলটে আরও ভয়ানক তথ্য সামনে আসছে। মনে করা হচ্ছে, চলতি মাসেই ওমিক্রন ‘ঝড়’ দেখতে পারে দেশ কারণ ডেল্টার মত সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই প্রজাতি। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন-এর অধিকর্তা চিকিৎসক ক্রিস্টোফার মারে। তাঁর বক্তব্য, জানুয়ারী মাসের শেষের দিকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হবে।

ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট জানান, আগামী কয়েক দিন গোটা বিশ্ব জুড়ে ৩০০ কোটি মানুষ এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হতে পারেন। দৈনিক হিসেবে সাড়ে তিন কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন বলেও দাবি করছেন তিনি। আরও বলছেন, গত বছর এপ্রিল মাসে যে সংক্রমণের হার দেখা গিয়েছিল তার থেকেও বেশি হবে এবার সংক্রমণ। ন্যুনতম হিসেবে এবার আগের থেকে ৩ গুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে। তবে আশার আলো এই, টিকা নেওয়া আছে বলে মৃদু উপসর্গ দেখা যাবে, বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার সুজোগ খুব একটা থাকবে না। অর্থাৎ, ভ্যাকসিন ওমিক্রন সংক্রমণকে ভয়ানক হতে দেবে না। কিন্তু আক্রান্ত যে হু হু করে বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই।

এদিকে আবার জানা গিয়েছে আমেরিকা-ইউরোপের মতো দেশগুলির মতো এবার ভারতে নিভৃতবাসের মেয়াদ হবে সাত দিনের৷ তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আইসিএমআর৷  তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে নতুন ক্লিনিক্যাল প্রোটোকলও জারি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা। আইসিএমআরের সহ অধিকর্তা ডা সমীরণ পান্ডার কথায়, নিভৃতবাসের সময় ১০ দিন থেকে কমিয়ে এক সপ্তাহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ কারণ দেখা গিয়েছে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ালেও ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। দেখতে গেলে মানব সভ্যতার কাছে ক্রমশ পরাজিত হচ্ছে ভাইরাস৷ তাই হোম আইসলেশনে থাকার মেয়াদ এক সপ্তাহ করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে৷