লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। বছর ঘুরলেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা ভোট হবে উত্তর-পূর্বের এই ছোট রাজ্যটিতে। ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরায় ম্যাজিক ফিগার ৩১। গত নির্বাচনে সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সরকার চালানো নিয়ে বহু অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, সমীক্ষায় বিজেপি জানতে পেরেছে ত্রিপুরার জনজাতি এলাকায় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। যেভাবে বিজেপি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় আসার আগে, তার অধিকাংশ পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন ত্রিপুরার মানুষ। বিজেপি যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তারা ম্যাজিক ফিগারের ধারে কাছে পৌঁছতে পারছে না। ত্রিপুরা নিয়ে যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে বিজেপি ১৮ থেকে ২২টির বেশি আসন পাচ্ছে না।
তবে শুধু সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ নয়, ত্রিপুরায় বিজেপির অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ত্রিপুরা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে প্রতিমা ভৌমিক কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর। এছাড়া বিপ্লব দেবও তার হারানো জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। একই ভাবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার লবিও সমানভাবে সক্রিয়। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা রাজনীতিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র কোথায় থাকবে তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছেই।