কারণে সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা সত্যি করে ঊর্দ্ধমুখী রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়াবাড়ি রকমের সংক্রমণ বেড়েছে বঙ্গে এবং তার জন্যই কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যে আক্রান্তের সংখ্যা বাগে আসবে না তাও স্পষ্ট। কারণ বছরের শেষে লাগামছাড়া ভিড় দেখা গিয়েছে সব জায়গায়। আর কলকাতার সংক্রমণও বিরাট বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আশঙ্কা এখনই চলে যাচ্ছে না। আজও বাংলার কোভিড গ্রাফ উপরের দিকেই।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে আজ আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ০৭৮ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৮০১ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ১ হাজার ০৫৭ জন। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ২২৮ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৯৪ জনের। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে একদিনে বঙ্গে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯১৭ জন।
সেই নিয়ে বাংলায় মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৬ লক্ষ ১৫ হাজার ২৪৮ জন। আবার পজিটিভিটি রেট আজও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৫৯ শতাংশ। অনেকটা বেড়েছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ২০ হাজার ১৮৬ জন। এদিকে, জানা গিয়েছে যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হবেন। কোভিড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরও তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ওমিক্রন সংক্রমণ মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরো কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে ২২ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ব্রিটেন থেকে সরাসরি কলকাতায় আসা সব বিমান চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়াও রাজ্যে করোনা সংক্রমণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো আবারও ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছে।