একটি দুটি নয় চারটি নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে চিনে

বছর প্রায় শেষ, আজকের দিনটা কাটলেই কাল থেকে শুরু নতুন বছরের। এরই মাঝে আবার চিনে নতুন করে যেভাবে করোনা মাথাচাড়া দিয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। শেষ কয়েক সপ্তাহের তথ্য বলছে, এখন কার্যত করোনাধ্বস্ত লাল ফৌজের দেশ। লাগাতার সংক্রমণ এবং মৃত্যু বৃদ্ধি হচ্ছে সেখানে। হাসপাতাল তো বটেই, শ্মশানেও নাকি জায়গা হচ্ছে না দেহ রাখার। এবার জানা গেল, শুধু একটি ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই অবস্থা নয় সেখানে। বিএফ.৭ ছাড়াও আরও ৪ টি প্রজাতির কারণে জিংপিংয়ের দেশে এই হাল।

ভারতের কোভিড প্যানেলের প্রধান এনকে অরোরা জানিয়েছেন, চিনের লাগাম ছাড়া সংক্রমণের জন্য ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-কেই দায়ী করা হচ্ছিল। তবে শুধুমাত্র তার জন্য এই অবস্থা নয়। আরও বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টও সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এনকে অরোরা জানাচ্ছেন, বিএফ.৭ ছাড়াও চিনে এই মুহূর্তে দাপট দেখাচ্ছে বিএন, বিকিউ প্রজাতি। তার সঙ্গে আছে এসভিভি প্রজাতিও। চিনের যা হাল তার জন্য বিএফ.৭ প্রজাতি দায়ী মাত্র ১৫ শতাংশ বলে মত তাঁর।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, টানা লকডাউন, কোভিড বিধির ফলে সেখানকার মানুষদের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরিই হয়নি। ভাইরাসের সঙ্গে কী ভাবে যুজতে হবে তা শেখেনি চিনারা। এদিকে, কোভিড টিকার মান অত্যন্ত খারাপ ছিল সে দেশে, তারওপর বেশিরভাগ মানুষ টিকা নেয়নি। সব মিলিয়ে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব ভারতের পড়শি দেশে।