বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও এখনো মুক্তি পেলো না তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জন্য তিনি গ্রেফতার হন। গোয়া থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে মামলা চলছে। আপাতত জেলেই ছিলেন রোদ্দুর রায় কিন্তু আজ আবার তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠালো আলিপুর আদালত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে কটূক্তির অভিযোগের মামলাতেই এই নির্দেশ।
আদালত আজ জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুন অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত রোদ্দুর থাকবেন পুলিশি হেফাজতে। নতুন এই মামলাতেই তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে কু-কথা বলার অভিযোগে কলকাতার একাধিক থানায় রোদ্দুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ব্যাঙ্কশালে আদালত তাঁকে জেল হেফাজত দেয়।
কিন্তু পাটুলি থানায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সেই মামলায় তাঁকে আজ আবার পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। উল্লেখ্য, একটি মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়। দু’হাজার টাকার বন্ডে রোদ্দূরকে জামিন দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কু-মন্তব্য মামলায় তাঁকে সোমবার অন্তর্বর্তী জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। তবে এখনই হেফাজত মুক্ত হচ্ছেন না তিনি।
এদিকে জানা গিয়েছে, জেলের অন্য বন্দিরা এখন রোদ্দুর রায়ের ‘অত্যাচার’ সহ্য করতে পারছেন না। রাতে তাদের জাগিয়ে গান শোনাচ্ছেন তিনি, দিচ্ছেন ‘মোক্সাবাদের’ পাঠ। তারা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে, রাত হলেও রোদ্দুর রায় তাদের ডেকে ডেকে তুলে দিচ্ছে। বলছে, রাতে কেউ শোয়ে না, জেগে থাকে! তারপর গান শোনাচ্ছে অশ্লীল ভাষায়, চিৎকার করছে। ধমক দিলেও থামছে না। রোদ্দুর এমন চিৎকার করে গান করছে যে অন্য সেলের বন্দিরাও নাকি ঘুমোতে পারছে না। এতেই সকলে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।