শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় পুরোপুরি ভাবে জর্জরিত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ প্রকাশ্যে এসেছে একের পর তথ্য৷ শত চেষ্টার পর অবশেষে মিলল না মুক্তি৷ ইডি আদালতের কাছে জেল হেফাজতের দাবি করেছিল দুজনের। তাঁদের দাবি মানল আদালত। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হল জেল হেফাজত।
১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। এদিন অবশ্য তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু অর্পিতার আইনজীবী তা জানাননি। আদালত অবশ্য দুজনকেই জেল হেফাজতই দিয়েছে।
পার্থর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। তাছাড়া যে ৩১ টি এলআইসি পলিসির কথা বলা হচ্ছে তা ভুয়ো, কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকলে নমিনি করা যায় না। এখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই।
তাঁর আরও বক্তব্য, ঘুষ দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাকরি দিয়েছেন এমন কেউই বলেনি এখনও। এর কোনও প্রমাণও নেই। তা সত্ত্বেও পার্থ ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। ২২, ২৪ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রমাণ ছাড়া কেউ কী ভাবে দোষী হতে পারে, সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন তিনি।
আইনজীবী এও জানিয়েছিলেন, প্রভাবশালী তকমা ছেড়ে দিয়ে, বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে একেবারে সাধারণ হয়ে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এতেও প্রস্তুত তিনি। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন মান্যি হল না ব্যাঙ্কশাল আদালতে।