পুজোয় ব্যবহার হওয়ার পরে ফেলে দেওয়া ফুল এবং পাতা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করার কাজ আগেই শুরু করেছিল উত্তর দমদম পুরসভা। ওই ফুল থেকে ভেষজ আবির এবং ধূপকাঠি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী শুরু হয় কাজ। এ বার উৎপাদিত সেই ধূপকাঠি ও ভেষজ আবির বিক্রির জন্য বিপণন ব্যবস্থা প্রস্তুত করতে চলেছে পুর প্রশাসন।পুর কর্তৃপক্ষ জানান, উৎপাদিত সামগ্রীর গুণমান এবং তা ব্যবহারযোগ্য কিনা, এই দু’টি বিষয় যাচাই করতে ওই ধূপকাঠি এবং ভেষজ আবির দু’টি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে মিলেছে শংসাপত্র। এর পরেই ঠিক হয়, পুরসভা এই ভেষজ আবির ও ধূপকাঠি বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করতে পারবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমান পুর বোর্ড শুরু থেকেই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর দিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এক দিকে যেমন জঞ্জাল থেকে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল, অন্য দিকে পুজোয় ব্যবহৃত ফুল ও পাতা থেকে আবির ও ধূপকাঠি তৈরির পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই কাজ করেছেন। প্রতিদিন ৫০০ কেজি ফুল সংগ্রহ করা হয়েছে। এক পুরকর্তা জানান, ভেষজ আবির ও ধূপকাঠি বিপণনের ব্যবস্থা করতে পারলে যাঁরা এই কাজের পিছনে ছিলেন, শুধু তাঁদেরই যে আয় বৃদ্ধি হবে তা নয়, আয় বাড়বে পুরসভারও। নগরোন্নয়ন দফতর (সুডা) থেকেও এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে বাসিন্দারা বলছেন, পুর প্রশাসন নিজে উদ্যোগী হলে এটি কর্মসংস্থানের একটি বিকল্প পথ হতে পারে। যদিও সর্বস্তরে সচেতনতা বেড়েছে, তেমনটা নয়। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, ব্যবহৃত ফুল ও পাতা থেকে তৈরি ভেষজ আবির এবং ধূপকাঠির গুণমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ বার সেগুলি বিপণনের পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।