আজও আমিষ ভোগ দেওয়া হয় কালী মা-কে, দেওয়া হয় বোয়াল মাছ ও শোল মাছ। গভীর রাতে পুরোহিতদের দেখা যায় মদ বা সূরা দিয়ে মায়ের পা ধুইয়ে দিতে, মায়ের হাতে খালি বাটিতে মদ বা সূরায় ভরে দিতে। জলপাইগুড়ি দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির পুজো ঠিক এভাবেই হয়ে আসছে বহুকাল ধরে।
সারারাত ধরে চলে এই শ্মশান কালী মায়ের পুজো। দূরদূরান্তের ভক্তরা রাতে ভিড় জমান ঐতিহ্যবাহী এই দেবী চৌধুরানী শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দিরের পুজো দেখতে। রাত যতো বাড়ে ভক্তদের ভিড় লক্ষ করা যায় মন্দির প্রাঙ্গণে। এই মন্দিরের পূজো এবারে 276 বছরে পদার্পণ করল। এই মায়ের পুজো অন্যান্য মন্দিরের মায়ের পুজো থেকে একটু আলাদা।
এই মন্দিরে মাকে আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। মূলত বোয়াল মাছ এবং শোল মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। মায়ের পা সুরা দিয়ে ধুয়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। মায়ের হাতের খালি বাটিতে মদ বা সুরা দেওয়া হয়ে থাকে। এখনও এই মন্দিরে পাঠা বলি প্রথা অনুযায়ী পাঠা বলি দেওয়া হয় এদিন ভোর রাতে। ভক্তরা তাদের মানত অনুযায়ী পাঠা নিয়ে আসে মন্দিরে। রাত দেড়টা নাগাদ অঞ্জলি দেওয়ার জন্য বহু ভক্ত সকাল থেকে উপবাস করে মন্দিরে অপেক্ষা করেন। সকালে মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হয় উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে।